সাইয়েদুল ইস্তেগফার - আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি
যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ এসেছেন আর আমাদের শিখিয়ে গেছেন কিভাবে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাইতে হয়, তওবা করতে হয়য়, ইস্তিগফার করতে হয়। সাইয়েদুল ইস্তেগফার এমন ই একটি ইস্তিগফার। আজ আমরা 'ইস্তেগফার ব্লগ' - এর এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানার চেষ্টা করবো 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার' নিয়ে বিস্তারিত। তো চলুন, শুরু করা যাক।
Table of Contents
Sayyidul Istighfar Bangla
ক্ষমা মহান আল্লাহ্র এক বিশেষ রহমত। বান্দা যখন পাপের সমুদ্রে ডুবে অনুশোচনায় ভোগে; আল্লাহ্র কাছে রহমত ও দয়া কামনা করে আল্লাহ তখন ইস্তিগফারকারী কে ক্ষমা করে দেন, মাফ করে দেন। সাইয়েদুল ইস্তিগফার এমন ই একটি তওবা ও ইস্তিগফার যা মহান আল্লাহর অতি পছন্দের বান্দায় পরিণত হওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়। আজ আমরা Sayyidul Istighfar Bangla -তে জানার ও বুঝার চেষ্টা করবো --- ইনশাআল্লাহ্।
একজন প্রভু ভক্ত ও রাসুল-প্রেমী সাচ্চা ঈমানদার এর ব্যবহারিক জীবনে প্রতিদিনের ৩টি আমল খুবই মর্যাদাপূর্ণ; যা তাঁকে পৌঁছে দিবে জান্নাতের অতি-উচ্চ আসন এ!
কি সেই মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ তিনটি আমল?
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার - সকাল বিকাল ১ বার করে মোট দুইবার।
- আয়াতুল কুরসি - প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর ১ বার করে দিনে মোট ৫ বার।
- সূরা আল-মুলক - প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ১ বার পাঠ করা।
সুতরাং আমরা আমল করার পাশাপাশি Sayyidul Istighfar Bangla তে এর অর্থ জানবো
সায়্যিদুল ইস্তেগফার
নবী-রাসুলগণ আল্লাহ্র অতি কাছের ও প্রিয় বান্দা হওয়া সত্বেও বারংবার আল্লাহ্র কাছে পানাহ চাইতেন সব সময়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ দিনে ৭০ থেকে ১০০ বার তওবা ও ইস্তেগফার করতেন। সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার তেমনি একটি অন্যতম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইস্তেগফার। আল্লাহর বান্দা ও রাসুলের উম্মত হিসেবে আমরাও সায়্যিদুল ইস্তেগফার এর দোয়া টি নিয়মিত আমল করতে।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার দোয়া
উত্তম দোয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দোয়া এটি। আল্লাহর কাছে তওবা করার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম সাইয়েদুল ইস্তেগফার দোয়া। আল্লাহু তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সবচেয়ে উত্তম একটি দোয়া হলো সাইয়েদুল ইস্তেগফার।
সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার অর্থ:
'সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার' হলো মহান আল্লাহ্র কাছে মাফ চাওয়া ও ক্ষমা প্রার্থনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দোয়া ও মাধ্যম । 'সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার' শব্দটি তে মূলত দুটি শব্দ মিলে একটি বাক্য গঠিত হয়েছে৷ 'সাইয়্যেদ' শব্দের অর্থ হলো 'লিডার' বা, 'নেতা'৷ 'সরদার' কিংবা 'শ্রেষ্ঠ'ও হয় ৷ তাহলে 'ইস্তেগফার' অর্থ 'হলো মাফ চাওয়া'; 'ক্ষমা প্রার্থনা করা'৷ দুটি মিলে যার অর্থ দাঁড়ায় 'ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া'৷
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ফজিলত
মানুষ হিসেবে আমরা দৈনন্দিন জীবনে চলতে ফিরতে জানা অজানা মনের অজান্তে প্রতি-নিয়ত অনেক গুনাহ করে যাচ্ছি। আর সেই গুনাহ গুলো মাফ পাবার জন্য আল্লাহ ও নবী-রাসুলগণ আমাদের পথ দেখিয়েছেন। সেই পথ গুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ পথ বা উপায় হলো সাইয়েদুল ইস্তেগফার। এটি পড়ার অনেক ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেনঃ
"কোন মু'মিন ব্যক্তি যদি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে পাঠ করে আর সারাদিনের কোন অংশে যদি তার মৃতু হয়ে যায় তবে সে জান্নাতি হবে। আবার যদি প্রতি রাতে পাঠ করে আর রাতে মারা গেলেও সে জান্নাতি হবে।
রাসুল সাঃ-এর এই হাদীস থেকে বোঝা যায় 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার' পাঠের ফজিলত কত বেশি।
মহান আল্লাহ্র কাছে তওবা ও ইস্তেগফার করার অনেক উপায় অনেক মাধ্যম নবী-রাসুলগণ আমাদের শিখিয়ে গেছেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ তওবা ও ইস্তেগফার এর মাধ্যম হলো সাইয়েদুল ইস্তেগফার।
সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার
জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া ইসলামের বিধান মতে একটি কবিরা গুনাহ। কিন্তু আল্লাহ্র রাসুল সাঃ বলে গেছেনঃ
জিহাদের ময়দান থেকে পালানোর মত কবিরা গুনাহ'ও যদিও কোন মু'মিন মুসলমান করে থাকে তাহলে সেও মাফ পেয়ে যাবে যদি সে খালেচ নিয়তে এবং অনুতপ্ত মন নিয়ে 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার' পড়ে নেয়।
সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার সম্পর্কে হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
যে মুমিন-মুসলমান এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন; যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নরতও হয়ে থাকে।
--- (তিরমিযী ৪/৬৯, আবুদাঊদ ২/৮৫, মিশকাত হা/২৩৫৩)।
অর্থাৎ সে যদি বড় রকমের কোন গুনাহগারও হয়, তবুও আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন যদি যে সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করে থাকে।
সুতরাং যারা মহান আল্লাহ্র প্রিয় বান্দা হতে চায়, যারা আল্লাহ্র কাছে মাফ চেয়ে ক্ষমা পেতে চায়, জান্নাতে যেতে চায় তারা অবশ্যই সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার এর আমনলটি করবে ---ইনশাআল্লাহ্।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়?
মহান আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময়ের দরকার হয় না। আল্লাহ্র বান্দা যখন গুনাহ করে, আল্লাহ্ ও তার রাসুলের হুকুমতের বাইরে চলে আর যখন তার মনের ভিতর অনুতাপ আর অনুশোচনা হয় তখন অনুতপ্ত মন নিয়ে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তার বান্দা কে ক্ষমা করে দেন। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো সাইয়েদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়? তবে সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে ও রাতে পড়া উত্তম বলে মনে করেন আলেমগণ।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার এমন এক বরকতময় তাওবা---
- কেউ যদি সকালে (ফযরের পরে) পড়ে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতী আর
- কেউ যদি সন্ধ্যায় (আসর বা, মাগরিবের পরে) পড়ে মারা যায় তাহলেও সে জান্নাতী।
সুতরাং এর থেকে বোঝা যায় সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে ও রাতে দুবার পাঠ করা উত্তম।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ
"যে ঈমানদার ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকালে সায়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ করবে, সে যদি সন্ধ্যা হওয়ার আগে মারা যায় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সন্ধ্যায় সায়্যিদুল ইস্তিগফার পড়ে সে যদি সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"---সহিহ বোখারি: ৬৩০৬
সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ার নিয়ম
প্রতিদিন সকালে ফজর নামাজের পর অর্থাৎ সকালে একবার সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ে নিলে হবে। আর মাগরিবের নামাজের পর একবার পড়ে নিলে হবে। এভাবে দিনে দুইবার পড়লে ভাল ফজিলত পাওয়া যাবে বলে মনে করেন আলেম-ওলামাগণ। এটাই সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ার নিয়ম।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার আরবি - [Sayyidul Istighfar Arabic]
নিচে সাইয়েদুল ইস্তেগফার আরবি - [Sayyidul Istighfar Arabic] 'তে দেয়া হলোঃ
সাইয়েদুল ইস্তেগফার আরবি উচ্চারণ:
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ
যারা আরবী পড়তে পারেন না, তাদের জন্য সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ দেয়া হলো।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি,
লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী,
ওয়া আনা ‘আবদু,
ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া আ‘দিকা মাসতাত্বা‘তু,
আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি, মা ছানা‘তু;
আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ লাকা বিযাম্বী,
ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা অর্থসহ
আমরা যেহেতু বাংলাদেশী, আরবীর অর্থ সবাই জানিনা। বাংলা অর্থ সহ জানলে যে কোন দোয়া তে মনের ভিতর একাগ্র-চিত্ত ও প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা অর্থসহ নিচে দেয়া হলোঃ
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা অর্থ:-
‘হে আল্লাহ!
আপনি আমার পালনকর্তা।
আপনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নাই।
আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছন।
আমি আপনার গোলাম, বান্দা।
আমি আমার সাধ্যমত আপনার নিকট দেওয়া অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি তে দৃঢ়-চিত্তে প্রতিজ্ঞা-বদ্ধ আছি।
আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পানাহ চাইছি।
আমি আমার উপরে আপনার দেওয়া সকল অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি।
অতএব আপনি আমাকে মেহেরবানি করে মাগ করে দিন, ক্ষমা করে দিন।
কেননা আপনি ব্যতীত পাপ-সমূহ/গুনাহ-সমুহ মাফ করার আর কেউ নাই, ক্ষমা করার কেউ নাই’।
---[সহীহ বুখারী : ৬৩০৬]
আমাদের চেষ্টা থাকবে সাইয়েদুল ইস্তেগফার আরবী মুখস্থ করার পাশাপাশি বাংলা অর্থও ভাল করে জানা ও বুঝা।
Istighfar Blog থেকে আরো পড়ুন...
সাইদুল ইস্তেগফার
আমরা প্রতি-নিয়ত পাপ ও গুনাহের সমুদ্রে ডুবে আছি। আল্লাহর কাছে তওবা ও ইস্তেগফার এর মাধ্যমে আমরা সেই পাপ ও গুনাহ গুলো থেকে ক্ষমা পেতে পারি। সাইদুল ইস্তেগফার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অন্যতম ও শ্রেষ্ঠতম উপায়। জান্নাত লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় আর বেহেস্তের সার্টিফিকেট হলো এই সাইদুল ইস্তেগফার।
সাইদুল ইস্তেগফার মুখস্থ করার সহজ উপায় কি? Sayyidul Istighfar Bangla
এটি তুলনামূলক ভাবে যেহেতু একটি বড় দোয়া সেহেতু এটি মুখস্থ করা সবার ক্ষেত্রে একটু সময় লাগতে পারে। সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত এর কথা বিবেচনা করে এবং এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে মুমিন মুসলমান অবশ্যই চাইবে এটি মুখস্থ রাখতে। সাইয়েদুল ইস্তেগফার মুখস্থ [Sayyidul Istighfar Bangla]থাকলে আমল করা সহজ হয়ে যায়।
নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলি 'সাইদুল ইস্তেগফার মুখস্থ করার সহজ উপায় কি?'। এই হাদিস টির কথা যখন প্রথম জনাব মিজানুর রহমান আজহারী হুজুর এর ওয়াজে শুনি, তখন অনলাইন থেকে এর বাংলা অর্থসহ সংগ্রহ করি। দেখে দেখে পড়ে আমল করি। কিন্তু কিছুতেই মুখস্থ হচ্ছিলো না।
মুখস্থ করার জন্য প্রথমে একটি কাগজে প্রিন্ট করে নিলাম 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা অর্থসহ'। এরপর প্রিন্ট কপি টি ঘরের দেয়ালে আটকে দিলাম। যখন ই চোখ পড়ে অল্প অল্প করে মুখস্থ করার চেষ্টা করি। মাত্র তিনদিনে মুখস্থ হয়ে গেলো - আলহামদুলিল্লাহ্।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা অর্থসহ মুখস্থ করার জন্য আপনিও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ - অনেক কম সময়ে মুখস্থ হয়ে যাবে।
এছাড়াও গুগল প্লে তে এপ্স আছে সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর। এপ্স মোবাইলে ইন্সটল করে মোবাইল থেকে পড়ে মুখস্থ করতে পারবেন সহজে।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার কোন সুরার আয়াত?
আপনি যদি জেনে থাকেন যে সাইয়েদুল ইস্তেগফার কুরানের আয়াত, তাহলে ভুল করছেন। এটি আসলে কুরানের আয়াত নয়। এটি মুলতঃ একটি হাদীস। এটি সহীহ বুখারী শরীফ এর ৬৩০৬ নম্বর হাদীস; [Sahih Al-Bukhari 6306]। অনেকেই জিজ্ঞেস করে এবং জানতে চায় 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার কোন সুরার আয়াত?' এর উত্তর হলো সাইয়েদুল ইস্তেগফার আসলে আল কুরানের কোন সুরার আয়াত না। এটি মুলতঃ সহীহ বুখারী শরীফ এর একটি হাদিস।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ভিডিও । মিজানুর রহমান আজহারী
জনপ্রিয় ইসলামিক চিন্তাবিদ, গভেষক ও সুপরিচিত বক্তা জনাব মিজানুর রহমান আজহারী তাঁর বিভিন্ন ওয়াজ এবং বক্তব্যে সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর গুরুত্ব ও ফজিলত তুলে ধরেন। এখানে আর বক্তব্যের একটি চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো একটি ইউটিউব শর্ট ভিডিও এর মাধ্যমে।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার pdf
নিচের লিংক এ সাইয়েদুল ইস্তেগফার pdf দেয়া হলো। চাইলে ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার দোয়া ছবি
অনলাইন থেকে পাওয়া কিছু সাইয়েদুল ইস্তেগফার দোয়া ছবি নিচে লিংক হিসেবে দেয়া হলো।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার অডিও
নিচে সাইয়েদুল ইস্তেগফার অডিও হিসেবে দেয়া হলো। এই অডিও গুনে সাইয়েদুল ইস্তেগফার মুখস্থ করা সহজ হবে। সাইয়েদুল ইস্তেগফার অডিও শোনার পাশাপাশি এর গুরুত্ব সম্পর্কেও জানা যাবে জনাব মিজানুর রহমান আজহারী সাহেবের কন্ঠে।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার থেকে কি কি জানলাম?
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সাইয়েদুল ইস্তেগফার থেকে আমরা কি কি জানলাম? কি কি উপলব্ধি করলাম?
চলুন জেনে নিই সাইয়েদুল ইস্তেগফার থেকে আমাদের উপলব্ধি গুলো এক নজরেঃ
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার - আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সর্বোত্তম দোয়া।
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার - শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার ও তওবা।
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার - জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফের দোয়া।
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার - আল্লাহ্র প্রিয় বান্দা হওয়া।
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার - জান্নাত লাভের অন্যতম আমল।
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার - বেহেস্তের সার্টিফিকেট।
Sayyidul Istighfar Bangla । আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি: উপসংহার
ধন্যবাদ আপনাকে 'Saiyedul Istighfar Bangla । আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি' নিয়ে 'ইস্তেগফার ব্লগ' -এর পোস্ট টি পড়ার জন্য। কোন ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার কোন মন্ত্যব্য ও জরুরী পরামর্শ থাকলে কমেন্ট এ জানাবেন। মহান আল্লাহ্ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের আমল গুলো কে জান্নাতের বিনিময়ে কবুল করুন ---আমিন।