সূরা মূলক
আসসালামু আলাইকুম। আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি 'সূরা মূলকের শানে নুযুল' এবং 'সূরা মূলকের ফজিলত' বিষয়ক আয়োজনে। এর পাশাপাশি থাকবে সূরা মূলক নিয়ে FAQ আকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নত্তোর ও তথ্য ।
ও হ্যা! ভাল কথা! সূরা মূলকের আরবী ও বাংলা উচ্চারণ, সূরা মূলকের বাংলা অর্থসহ আমরা 'ইস্তেগফার ব্লগ' -এর গত কিছুদিন আগের পোস্ট এ দিয়েছি। যারা আরবি পড়তে পারেন না কিংবা বাংলা পড়ারও টাইম পান না, তাদের জন্য সুমধুর ও স্বর্গীয় কণ্ঠে 'সূরা মূলক অডিও Mp3' এবং 'সূরা মূলক pdf download' সহ দেয়া হয়েছে। নিচের লিংক এ গেলেই পাবেন।
সূরা মূলক এর বাংলা উচ্চারণসহ । সূরা মূলক pdf download
সূরা মুলক এর শানে নুযুল
মহাগ্রন্থ আল-কুরানের প্রতিটি সুরা নাযিলের পেছনে কোন না কোন কারণ বা, ঘটনা রয়েছে। শান মানে ঘটনা। শানে নুযুল মানে হলো অবতীর্ণের কারণ বা ঘটনা, অবস্থা, মর্যাদা, পটভূমি ইত্যাদি। সুরা মুলক এর শানে নুযুল এ আমরা জেনে নিবো 'সুরা মুলক এর নামকরণ কিভাবে হয়?', 'সুরা মুলক কখন নাজিল হয়?' ইত্যাদি।
সুরা মুলক এর নামকরণ
সুরা মুলক এর নামকরণ করা হয়েছে এর প্রথম আয়াতের শব্দ 'মূলক' থেকেই। এই সুরার প্রথমে 'তাবারকাল্লাযি বিয়াদিহিল মূলক' থেকেই এর আল মূলক শব্দটিকে এ সূরার নাম হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।
সুরা মুলক নাযিল হওয়ার সময়-কাল
নির্ভরযোগ্য কোন বর্ণনা থেকে জানা না গেলেও সুরা মুলক একটি মক্কায় অবতীর্ণ সুরা। সুরা মুলক এর বিষয়বস্তু ও বর্ণনা থেকে সুষ্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, সূরাটি রাসুল সাঃ এর মক্কী জীবনের প্রথম দিকে অবতীর্ণ সূরা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সুরা।
সূরা মুলক পবিত্র কুরআনুল কারিম এর ৬৭তম সূরা। এটি ২৯তম পারায় স্থান পাওয়া একটা সুরা। এই সুরার প্রথম আয়াতের 'তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মূলক' থেকে ২৯ পারার নামকরণ হয়েছে 'তাবারাকাল্লাযী'। সুরা মূলকে এ সর্বমোট ৩০টি আয়াত রয়েছে। এতে রুকু সংখ্যা ০২ টি।
সূরা মূলক ২১
সূরা মূলক ২১ মানে কি? মূলত সূরা মূলক এর ২১ নাম্বার আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতেই সূরা মূলক ২১ প্রত্যয়টির উদ্ভব। সূরা মূলক এর ২১ নম্বর আয়াতে কি বলা হয়েছে? এই আয়াতে মহান আল্লাহ্ তায়ালা যে একমাত্র রিজিক-দাতা তা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই আয়াতে বলা হয়েছেঃ
আমি যদি তোমদের রিজিক বন্ধ করে দেই তাহলে কে তোমাদের রিজিক দেবে?
এমন কেউ কি আছে, যে তোমাদেরকে রিজিক দান করবে??
বরং তারা তো প্রতিনিয়ত অবাধ্যতা আর সত্য-বিমুখতায় ডুবে আছে।
- - -[সুরা মুলক - ৬৭:২১]।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন সূরা মূলক ২১ মানে আসলে কি।
সূরা আল-মুলক তেলাওয়াত এর উত্তম সময় কোনটি?
এখন প্রশ্ন হলো সূরা আল-মুলক তেলাওয়াতের এর উত্তম সময় কোনটি?, কখন সুরা মুলক তিলাওয়াত করলে উত্তম ফজিলত পাওয়া যায়?
সূরা মুলক রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে তিলাওয়াত করা উত্তম। এছড়াও অন্য যেকোনো সময়েও তিলাওয়াত করা যাবে। সুরা মূলক বাংলা অর্থ বুঝে নিয়মিত তিলাওয়াত করলে অনেক ফজিলত রয়েছে। এই সূরা নামাজে তিলাওয়াত করাও উত্তম। সুরা মুলক মুখস্ত জানা না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। দেখে দেখে বাংলা অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করলে বিশেষ সাওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা মূলক এর তিলাওয়াত এর ফজিলত নিয়ে হাদিসে এসেছে:
আমাদের প্রিয় নবী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মুলক তিলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না।’
- - - [তিরমিজি]
সূরা মূলক এর শান নুযুল নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানলাম। এবার আমরা জানবো সূরা মূলক এর ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে। চলুন শুরু করি সূরা মূলকের গুরুত্ব ও ফজিলত একে একে।
সূরা মূলক -এর ফজিলত
The Power Of "সূরা মূলক"❣️
মনে করুন, আপনি মারা গেছেন! আপনার জানাজার নামাজ শেষ! আপনাকে কবরে রাখা হলো! আপনি অপেক্ষা করতেছেন মুনকার নাকির ফেরেশতার জন্য! কিন্তু, তাঁরা আসছে না! অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া শুরু করেছেন আপনি!
একটু পরেই; কবরের সাথে জান্নাতের একটি সুড়ঙ্গপথ তৈরি হয়ে গেলো! আপনি ভাবলেন, এ কেমন কথা! প্রশ্ন-উত্তর কই!? তখন আপনার মনে পড়ল - - -
'প্রতি রাতে সূরা মূলক পাঠ করলে কবরে প্রশ্ন উত্তরের ঝামেলা নাই! কবর আজাবেরও কোনো চান্স নাই!
অতঃপর, রেশমী চাদরের নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে আপনি বললেন 'আলহামদুলিল্লাহ'!❤️
~ ~ ~ [তিরমিজি - ২৮৯০ এর সহীহ অংশ থেকে]।
সূরা মূলক ; ৩০ টা আয়াতের ছোট্ট একটা সূরা এটা! কিন্তু কতো পাওয়ারফুল এই সূরাটা! আপনি মন থেকে চাইলেই প্রতি এশার নামাজের পরে অথবা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই সূরাটা পাঠ করতে পারেন! আপনার মূল্যবান জীবনের খুবই মূল্যবান সময় থেকে বড়জোর ৭-৮ মিনিট সময় খরচ হবে! আর এর বিনিময়ে আপনি পাবেন চিরস্থায়ী জান্নাত! আল্লাহ আমাদের সবাইকে সূরা মূলক তিলাওয়াত করার তৌফিক দান করুক! আমীন!!
আসলে মাত্র কয়েকটি লাইনে সীমাবদ্ধ রেখে সুরা মুলক এর গুরুত্ব, সূরা মূলক -এর ফজিলত বর্ণনা করা কঠিন। তাও এখানে আমরা চেষ্টা করবো কয়েকটি ধাপে সূরা মূলক -এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার এবং বুঝার। নিচে আমরা 'ইস্তেগফার ব্লগ' -এর আজকের আয়োজনে 'সূরা মূলক -এর ফজিলত' কে ৩ টি গুরুত্ব ধাপে আলোচনা করার ইচ্ছা পোষণ করেছি।
- সূরা মূলক -এর ফজিলত: ০১
- সূরা মূলক -এর ফজিলত: ০২
- সূরা মূলক -এর ফজিলত: ০৩
তো চলুন শুরু করা যাক তাহলে ৩ টি গুরুত্ব ধাপে সূরা মূলক -এর ফজিলত।
সূরা মূলক -এর ফজিলত: ০১
কুরআন ও হাদিসের আলোকে সুরা মুলক এর ফজিলত ও গুরুত্ব নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হলোঃ
- সূরা মুলক নিয়মিত তিলাওয়াত করলে কবর আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- মহানবী সাঃ সূরা মূলক না পড়ে কোন রাতেই ঘুমাতে যেতেন না।
- সুরা মুলক এই সুরা তিলাওয়াত-কারী কে হাশরের দিন সুপারিশ করবে।
- নতুন চাঁদ উঠার সময় সূরা মুলক তেলাওয়াত করলে সারামাস আনন্দে, সুখে ও খুশিতে কাটবে।
- সূরা মূলক ৪১ বার তিলাওয়াত করলে বিপদ-আপদ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
- সূরা মূলক ৪১ বার তিলাওয়াত করলে ঋণ থেকে উদ্ধার ও মুক্তি পাওয়া যায়।
- স্বপ্নে সূরা মূলক তেলাওয়াত করতে দেখলে প্রচুর সম্পদের মালিক হবে।
উপরে বর্ণিত সুরা মুলক এর ৭ টি সেরা ফজিলত একজন মুলসিম ও ঈমানদার জীবন কে সুন্দর ও সাফল্যময় করতে সক্ষম হবে।
সূরা মূলক -এর ফজিলত: ০২
সূরা মূলকের আরো কিছু ফজিলত ও গুরুত্ব নিচে দেয়া হলোঃ
- প্রতিদিন সূরা মূলক তিলাওয়াত করলে কবরের আযাব ও কিয়ামতের বালা-মুছীবত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- সূরা মূলক তিলাওয়াত-কারী কে কবরের আজাব থেকে কেয়ামত পর্যন্ত রক্ষা করবে ।
- সূরা মূলক তিলাওয়াত-কারী কে পরকালে মুক্তির জন্য সুপারিশ করবে।
- মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন - - - 'আমি মনে প্রাণে চাই যে সূরা মুলক আমার উম্মত প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের অন্তরে থাকুক।'
- মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন - - - "সূরা আল মূলক কবরের আযাব থেকে রক্ষাকারী"।
সুরা মুলকের ফজিলত নিয়ে রাসুল সাঃ এর আরো একটি গুরুত্ব হাদিস রয়েছে। তিরমিযী হাদিসে বর্ণিত আছে; হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) -এর একজন সাহাবী না জেনে কোন একটি কবরের উপর তাঁবু স্থাপন করেছিলেন; কিছুক্ষণ পরে তিনি উক্ত কবর থেকে তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু 'সূরা মূলক' তিলাওয়াত এর শব্দ শুনতে পেলেন। এমনকি সুরা মুলক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত শুনতে পেলেন। সাহাবী এই ঘটনা হুজুরে পাক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালেন এবং বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করলেন।
- উত্তরে রাসুল সাঃ বললেন-
'এই সূরা (গোনাহ) বারণকারী, প্রতিরোধকারী; আল্লাহ্ তায়ালার আযাব থেকে রক্ষাকারী, নাজাত প্রদানকারী।
- - - [তিরমিজি)
সুতরাং ইহকালে কল্যাণ এবং পরকালে মুক্তির জন্য একজন মুসলিম ও ঈমানদার এর দৈনিক তালিকাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেনঃ
মিশকাত আল মিসবাহ তে সুরা মুলক এর ফজিলত নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস আছে। হযরত খালিদ বিন মাদাম সূরা আল মুলক ও আস-সাজদা সম্পর্কে বলেছেনঃ
এই দুটি সূরা কবরে তাদের তিলাওয়াতকারীর জন্য প্রাণপণ লড়াই করবে এবং বলবে - - -
'হে আল্লাহ্! আমরা যদি আপনার পবিত্র কুরআনের অন্তর্ভুক্ত হই তবে তাঁর অনুগ্রহে আমাদের সুপারিশ গ্রহণ করুন। যদি আমরা না হই তবে আমাদের শেষ করে দিন। এই সূরাগুলি পাখির মতো ডানা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেবে এবং এভাবেই তাদের তিলাওয়াতকারীকে ব্যক্তিকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে।"
সূরা মূলক -এর ফজিলত: ০৩
সুরা মুলকের ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে ৩ নং ধাপে আরো কিছু ফজিলত নিয়ে কথা বলার প্রয়াস করছি। সুরা মূলকের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে আরো কিছু হাদিস রেফারেন্স সহ উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ্।
সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতের বেলা তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক অর্থাৎ সূরা মুলক তেলাওয়াত করবে মহান আল্লাহ্ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর যামানায় এই সূরাটিকে আমরা “আল-মা’আনিয়াহ” বা সুরক্ষাকারী বলতাম। যে রাতের বেলা এই সূরাটি পড়বে সে খুব ভালো একটা কাজ করলো”।
- - - [সুনানে আন-নাসায়ী; ৬/১৭৯]
সুরা মুলক এর ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে রাসুল সাঃ এর আরো একটি হাদিস আছে। তিনি বলেছেনঃ
“ পবিত্র কুরআন মাজিদে এমন একটি সূরা আছে যার মধ্যে ৩০টা আয়াত রয়েছে; যেটা একজন মুমিন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটা হলো তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু [ সূরা মুলক]”।
- - - [সুনানে আত-তিরমিযী ২,৮৯১; সুনানে আবু দাউদ ১,৪০০: মুসনাদের আহমাদ, ইবনে মাজাহ: ৩,৭৮৬]।
হাশরের ময়দানে কেউ কারো কোন কাজে আসবে না। কিন্তু স্বয়ং কুরআন অর্থাৎ সুরা মুলক যখন আপনার বন্ধু হয়ে আপনার সুপারিশ করবে তখন এর চাইতে বড় পাওনা আর কি হতে পারে!!!
এখানে আবু দাউদ শরিফ থেকে আরো একটি হাদিস উল্লেখ করতে চাই সুরা মুলক এর ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে।
কঠিন হাশরের ময়দানে এক ব্যক্তির উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে সূরা মূলক নিয়মিত তিলাওয়াত করতো। তখন সূরা মূলক মহান আল্লাহ্ কে বলবে উমুক ব্যক্তিকে আপনি ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ্ বললেন - না! সূরাটি আবারও বলবে - আল্লাহ্ উমুক ব্যক্তিকে আপনি ক্ষমা করে দিন, কারণ সে আমাকে তিলাওয়াত করতো। আল্লাহ্ আবারও না বললেন।
এইভাবে সূরাটি আল্লাহ্র কাছে উমুক ব্যক্তির জন্যে ক্ষমা চাইতেই থাকবে যেই পর্যন্ত না মহান আল্লাহ্ ব্যক্তিটিকে ক্ষমা না করেন।
সুতরাং সুরা মুলকের ফজিলত কতখানি তা উপরোক্ত হাদিস গুলো পর্যালোচনা করলে সহজেই বুঝা যায়।
তো এতক্ষন আমরা সূরা মুলকের শানে নুযুল এবং সূরা মূলক এর ফজিলত নিয়ে বিস্তারিত। এবার আমরা জেনে নিবো সূরা মূলক নিয়ে কিছু প্রশ্নত্তোর, যেগুলো FAQ আকারে নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্।
সূরা মূলক - FAQ's
এখন আমরা জেনে নিবো সূরা মূলক সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য। সূরা মূলক সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে প্রশ্নত্তোর FAQ এর মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।
সূরা মূলক এর আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তরঃ সূরা মুলকের আয়াত সংখ্যা সর্বমোট ৩০টি।
সূরা মূলক কোথায় অবতীর্ণ হয়?
উত্তরঃ সূরা মূলক মক্কায় অবতীর্ণ হয়।
সূরা মুলক এ কয়টি রুকু আছে?
উত্তরঃ সূরা মূলক এ ২টি রুকু রয়েছে।
তাবারাকাল্লাহ অর্থ কি?
উত্তরঃ তাবারাকাল্লাহ এর সঠিক বাংলা অর্থ হলোঃ আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন। কারো মঙ্গল কামনা করার জন্য 'তাবারাকাল্লাহ' বলতে হয়। আর 'তাবারাকাল্লাহ' এর উত্তরে 'মাশাআল্লাহ্' বলতে হয়।
Istighfar Blog থেকে আরো পড়ুন...
সূরা মুলকের শানে নুযুল - সূরা মূলকের ফজিলত: শেষকথা
যাই হোক, আজকে আমরা 'সূরা মূলক' নিয়ে অনেক তথ্য জেনে নিলাম। সূরা মুলকের ফজিলত, সূরা মুলকের গুরুত্ব, সূরা মুলকের শানে নুযুল সহ অনেক কিছু দরকারী তথ্য জেনে নিলাম। 'ইস্তেগফার ব্লগ' এর 'সূরা মুলকের শানে নুযুল - সূরা মূলকের ফজিলত' বিষয়ক আয়োজনের সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক মোবারকবাদ রইলো। আপনার মনে যদি সূরা মূলক নিয়ে কোন প্রশ্ন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য জাগে তাহলে কমেন্ট এ জানাতে ভুলবেন না। মহান আল্লাহ্ সূরা মুলকের ফজিলত আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন, সূরা মুলক নিয়মিত তিলাওয়াত জান্নাতের বিনিময়ে কবুল করুন... আমিন।