Ayatul Kursi Bangla
আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি 'Ayatul Kursi Bangla' নিয়ে। যুগে যুগে মহান আল্লাহ্ দুনিয়াতে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন যাদের জীবন-চরিতের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহ্র দ্বীন প্রচার করা। তাওহীদ ও একত্ববাদ ই ছিল নবী-রাসুলগণের জীবনের মূল মিশন। মহান আল্লাহ্ তায়ালার তাওহীদ, একত্ববাদ, গুনাবলী ও বৈশিষ্ট্যের অন্যতম নিদর্শন হলো 'আয়াতুল কুরসি'।
ইস্তেগফার ব্লগ-এর আজকের আয়োজন 'আয়াতুল কুরসি বাংলা' নিয়ে। আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে চেষ্টা করবো 'আয়াতুল কুরসি বাংলা' এবং 'আয়াতুল কুরসি ফযিলত' নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো তুলে ধরার। এর পাশাপাশি থাকবে আয়াতুল কুরসি নিয়ে প্রশ্নোত্তর ও সমাধান।
আয়াতুল কুরসি মানে কি? আল্লাহর কুরসী বলতে কি বোঝায়?
চলুন জেনে নিই- আয়াতুল কুরসি মানে কি? আয়াতুল কুরসি অর্থ কি? আয়াতুল কুরসি এর আরবি হলোঃ آية الكرسي । এটি পবিত্র কুরান শরীফ এর সুরা বাকারা'র একটি আয়াত। এই আয়াতে মহান আল্লাহ্ তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্য গুলো তুলে ধরেছেন।
আয়াতুল কুরসি হলো মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এর সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত এবং বিশ্বজগতের সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য। মহাজগতের সকল কিছুর উপর আল্লাহ্ তায়ালার পূর্ণ ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও অলৌকিক বৈশিষ্ট্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে 'আয়াতুল কুরসি'-তে।
কুরসী শব্দের বাংলা অর্থ হলো 'আল্লাহ্ তাআ’লার পা রাখার জায়গা'। তাওহীদ, ইখলাস, ইসমে আযম, আল্লাহর ক্ষমতা ও সিফাত ইত্যাদির কথা তুলে ধরা হয়েছে আয়াতুল কুরসি তে।
আয়াতুল কুরসি সূরা বাকারার কত নাম্বার আয়াত?
মহাগ্রন্থ আল-কুরানের সবচেয়ে বড় সূরা আল-বাকারা'র ২৫৫ তম আয়াত ই হলো 'আয়াতুল কুরসি'।
আয়াতুল কুরসি সূরা বাকারার কত নাম্বার আয়াত? এ নিয়ে আবার কিছু ভুল ধারনাও আছে। কেউ কেউ বলে যে সূরা আল-বাকারা'র ২৫৫ ও ২৫৬ নাম্বার এই দুই আয়াত হলো 'আয়াতুল কুরসী'। এটি আসলে একটি ভুল ধারণা। মনে রাখুন, আল-বাকারা'র শুধুমাত্র ২৫৫ তম আয়াত টি ই হলো 'আয়াতুল কুরসি'। আবার ২৫৬ নাম্বার আয়াতও কিন্তু আয়াতুল কুরসি'র অন্তর্ভুক্ত নয়।
আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয়?
আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয়? কোন সময় এটি পড়া যায়। তবে প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে ভাল ফযিলত পাওয়া যায়। চলুন, হাদিসের আলোকে আমরা জেনে নিই 'আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয়?'
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী আমরা আয়াতুল কুরসী আমল করতে পারি। তিনি বলেনঃ
যখন ঘুমাতে যাবে তখন আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমাবে তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য একজন পাহাড়াদার নিযুক্ত করবে যে তোমার সাথে থাকবে আর কোন শয়তান সকাল পর্যন্ত তার কাছে আসতে পারবে না।--- [সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ২৩১১]
হযরত আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে কোন কিছুই বাঁধা হবে না।- - - [সহীহ আল-জামে, হাদিস নম্বরঃ ৬৪৬৪]
হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর 'আয়াতুল কুরসি' পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া আর কোনো কিছুই বাঁধা থাকে না।- - - (শু'আবুল ঈমান : ২৩৯৫)।
উপরোক্ত ৩টি হাদিস থেকে আমরা 'আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয়?' তার উত্তর পেয়ে গেলাম।
আয়াতুল কুরসি কোন সময় পড়ব?
যদিও বা যে কোন সময় এটি পরা যাবে; তবুও আয়াতুল কুরসি পাঠের গুরুত্বপূর্ণ ৩টি সময় হলোঃ
- প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায়
- প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এবং
- প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে
উপরে বর্ণিত তিন সময়ে আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি নেকী ও সওয়াব পাওয়া যাবে - - - ইনশাআল্লাহ।
স্বপ্নে আয়াতুল কুরসি পড়লে কি হয়?
অনেকেই রাতে ভয় পায়। স্বপ্ন বা, খারাপ স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে যায়। স্বপ্নে আয়াতুল কুরসি পড়লে কি হয়? খারাপ স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ে আয়াতুল কুরসি পড়ে সারা গায়ে ফু দিলে শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
আয়াতুল কুরসি দিয়ে কি নামাজ পড়া যাবে?
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় 'আয়াতুল কুরসি দিয়ে কি নামাজ পড়া যাবে?'। কেননা এটি সুরা বাকারা একটি আয়াত মাত্র; কিন্তু নামাজের কিরাতে নিয়মে আছে - সূরা ফাতেহার'র সাথে অন্য সর্ব নিন্ম ৩ আয়াত মিলিয়ে পড়া উচিৎ।
যেহেতু আয়াতুল কুরসি একটি মোটামুটি বড় আয়াত; সেহেতু অন্য সূরা মিলানোর পরিবর্তে আয়াতুল কুরসি পড়লেও চলবে। আলেম-ওলামাগণ তাই মনে করেন।
Ayatul Kursi English
আয়াতুল কুরসি এর English Translation নিচে দেয়া হলোঃ
Allah! There is no god but He - the Living, the Self-subsisting, Eternal. No slumber can seize Him nor Sleep. His are all things in the heavens and on earth. Who is there that can intercede in His presence except as he permitteth? He knoweth what (appeareth to His creatures As) Before or After or Behind them. Nor shall they compass aught of His knowledge except as He willeth. His throne doth extend over the heavens and on earth, and He feeleth no fatigue in guarding and preserving them, For He is the Most High, the Supreme (in glory).
আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
যে কোন কিছু যদি অর্থ বুঝে জেনে পড়া হয় তাহলে মনের প্রশান্তি ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। আমরা যেহেতু বাংলাদেশী তাই সবাই আরবী ভাল ভাবে সবাই পড়তে ও বুঝতে নাও পারে। তাই সকলের বুঝার সুবিধার জন্য আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ নিচে দেয়া হলো।
আয়াতুল কুরসি আরবি
আয়াতুল কুরসি আরবি ভাষায়ঃ
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
আয়াতুল কুরসি আরবী উচ্চারণ এবং বাংলা অর্থ সহ নিচে দেয়া হলোঃ
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম, লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম।
লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি,
মান যাল্লাযী ইয়াশ-ফাউ ইনদাহু— ইল্লা বি ইজনিহ,
ইয়া লামু মা বাইনা- আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম,
ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’
ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি,
ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা
ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম।
আয়াতুল কুরসি আরবি, বাংলা উচ্চারণ এবং বাংলা অর্থসহ
সবার বুঝার সুবিদার্থে নিচে টেবিল আকারে দেয়া হলো আয়াতুল কুরসি আরবি, বাংলা উচ্চারণ এবং বাংলা অর্থসহ।
আয়াতুল কুরসীতে মোট ১০টি বাক্য রয়েছে যার আরবী উচ্ছারণ এবং বাংলা অনুবাদ সহ নিচে টেবিল আকারে দেয়া হলো; টেবিল টি উইকি থেকে হাফেজ আল্লামা ইমামুদ্দীন ইবনে কাসীর কর্তৃক রচিত Tafsir Ibn Kathir থেকে নেওয়া হয়েছে।
আয়াতুল কুরসি আরবি | আয়াতুল কুরসি উচ্চারণ | আয়াতুল কুরসি বাংলা |
---|---|---|
اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُو ج | আল্লাহু লা - ইলাহা ইল্লা হুয়া | আল্লাহ্; তিনি ছাড়া আর অন্য কোনো উপস্য নাই |
ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّوم ج | আল-হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম | তিনি চিরঞ্জীব [(অমর], চিরস্থায়ী / সবকিছুর ধারক। |
لَا تَأْخُذُهُۥ سِنَةٌ وَلَا نَوْم ج | লা- তা'খুজুহু সিনাত্যুও ওয়ালা নাউম | তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। |
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ قلے | লাহু মা'ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্ | আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সব কিছু তাঁর ই। |
مَن ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ ج | মান যাল্লাযী ইয়াশ ফাউ ইনদাহু--- ইল্লা বি ইজনিহ | কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তার অনুমতি ছাড়া? |
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُم صلے | ইয়া লামু মা বাইনা - আইদীহিম ওয়ামা খাল-ফাহুম | দৃষ্টির সামনে অথবা পিছনে যা কিছু আছে সে সবই তিনি জানেন। |
وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآء ج | ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শা-আ | এবং তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু তা ব্যতীত - যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। |
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْض صلے | ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা'ওয়াতি ওয়াল আরদ | এবং তাঁর কুরসি [পদাসন/পা রাখার স্থান] সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে। |
وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفْظُهُمَا ج | ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজু-হুমা | আর সেগুলোর দেখাশোনা-রক্ষণাবেক্ষণ করতে তিনি কখনো ক্লান্তিবোধ করেন না। |
وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْعَظِيمُ | ওয়াহুয়াল আ'লিয়্যূল আজী-ম। | আর তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। |
সূরা আয়াতুল কুরসি
মূলত 'সূরা আয়াতুল কুরসি' নামে কোন সূরা নেই। কিন্তু অনেকেই এই আয়াতুল কুরসি বা, সূরা বাকারা'র ২৫৫ তম আয়াত টি কেই বলে থাকেন 'সূরা আয়াতুল কুরসি'। সুতরাং 'সূরা আয়াতুল কুরসি' কিংবা 'সূরা আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ' এসব বললে বুঝতে হবে সূরা বাকারা'র ২৫৫ নম্বর আয়াত টি কেই বুঝানো হয়েছে। এতে বিভ্রান্ত না হওয়াই উত্তম।
আয়াতুল কুরসি ফজিলত
মহাগ্রন্থ আল-কুরানের শ্রেষ্ঠতম আয়াত আয়াতুল কুরসির ফযিলত অনেক। রাসুল সাঃ এর অনেক হাদীস রয়েছে আয়াতুল কুরসির ফযিলত নিয়ে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞেস করেনঃ
'তোমার কাছে কুরআন কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ?
তিনি বলেছিলেনঃ
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আল হাইয়্যুল কাইয়্যুম
তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাত তার বুকে রেখে বলেনঃ
আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ।
হজরত উবাই বিন কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
পবিত্র কুরানে সূরা বাকারা'র মধ্যে এমন একটি আয়াত আছে, যে আয়াত টি পুরো কোরআনের নেতাস্বরূপ। তা পড়ে ঘরে প্রবেশ করলে শয়তান ঐ বের হয়ে যায়। তা হলো 'আয়াতুল কুরসি'।
হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,
যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন।
উপরোক্ত হাদিস গুলো থেকে সহজেই বুঝা যাচ্ছে আয়াতুল কুরসির গুরুত্ব কতখানি।
আয়াতুল কুরসির ফজিলত কি কি?
আয়াতুল কুরসি'র অসংখ্য নিয়ামত ও ফজিলত এর মধ্যে নিচে সেরা ৫ টি ফজিলত উল্লেখ করা হলোঃ
- আয়াতুল কুরসি -পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০ হাজার ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করেন।
- আয়াতুল কুরসি -এটি পড়ে ঘরে ঢুকলে ঐ ঘরে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা।
- আয়াতুল কুরসি -এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।
- আয়াতুল কুরসি -ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলাে মৃত্যু! তাঁর মৃত্যু-আযাব এতই হালকা হয় যে, যেন একটি পিপড়ার কামড়ের মত।
- আয়াতুল কুরসি -ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।
মহান আল্লাহ্ পাক আমাদের কে প্রতিদিন আয়াতুল কুরসি আমল করার তৌফিক ও সৌভাগ্য দান করুন--- আমিন।
Istighfar Blog থেকে আরো পড়ুন...
আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত
হৃদয় শীতল করা ও আত্মা প্রশান্তকারী কণ্ঠে আয়াতুল কুরসি শুনে আমার মন ভরে গেল। এতো সুন্দর ও সুললিত কন্ঠ আমি কখনো শুনিনী! অসাধারণ তেলওয়াত!! সুবহানাল্লাহ্!!! কি মধুর তেলাওয়াত। কলিজা শীতল হয়ে যায় তেলাওয়াত শুনে। ❤❤
ayatul kursi mp3
আয়াতুল কুরসি এর অডিও শুনুন, সাথে বাংলা অনুবাদও আছে। সুমধুর কন্ঠে ayatul kursi mp3
আয়াতুল কুরসি বাংলা pdf
আয়াতুল কুরসি বাংলা pdf ডাউনলোড করে রেখে দিন।
আয়াতুল কুরসি বাংলা pdf: ডাউনলোড
ayatul kursi mp3 download
চাইলে ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন ayatul kursi mp3। নিচের লিং থেকেঃ
Ayatul Kursi Bangla - ফযিলত ও গুরুত্ব: আমাদের শেষকথা
ধন্যবাদ আপনাকে আয়াতুল কুরসি বাংলা এবং আয়াতুল কুরসি ফযিলত নিয়ে ইস্তেগফার ব্লগ -র এই আয়োজনের সাথে থাকার জন্য। আসলে আয়াতুল কুরসি এর ফযিলত এত ক্ষুদ্র পরিস্বরে জানা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে সময় পেলে আরো বিস্তারিত লিখবো আয়াতুল কুরসি নিয়ে - - - ইনশাআল্লাহ!!!